Wellcome to National Portal
 
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট,  তালগাছি, শাহজাদপুর,  সিরাজগঞ্জের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনাকে সুস্বাগতম!



ভবিষ্যত পরিকল্পনা

                                           

                                                                                                                                                                                       

স্বপ্ন দেখার শুরু

   

আমরা সবাই জানি, বস্ত্র খাত বাংলাদেশের উন্নয়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে পোশাক শিল্পের একটি মর্যাদাপূর্ণ ব্র্যান্ডের নাম  "মেড ইন বাংলাদেশ"


টেক্সটাইল সেক্টর এখন বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী শিল্প। কমবেশি বিতর্ক রয়েছে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিবর্তনের জন্য শিল্প প্রবৃদ্ধির ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন। কিন্তু এটি সত্য যে, বস্ত্র শিল্প আমাদের মাতৃভূমির অর্থনীতির পুনর্গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। বিজিএমইএ হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪.৫৮% এই খাত থেকে এসেছে। 

   

এই সেক্টরের অগ্রগতি বেগবান রাখতে হলে ফ্লোর লেভেলে দক্ষ ও যোগ্য জনবলের বিকল্প নাই। বর্তমানে আমাদের দেশের বস্ত্র খাতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। আর এ জন্যই, ফ্যাক্টরিগুলো বাস্তবে নিম্নলিখিতভাবে দক্ষতার ঘাটতির সমস্যা সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক, স্বল্পমেয়াদে এবং মধ্যমেয়াদে পদক্ষেপ নয়।

(১) স্বল্প সময়ে অদক্ষ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য "হেলপার" হিসাবে চাকুরিতে নিয়োগের বিধান।

(২) উচ্চ মজুরি/উন্নত পারিশ্রমিক প্যাকেজ অফার করার মাধ্যমে অন্যান্য ইন্ড্রাস্ট্রি থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে নিয়ে আসা।

   

কিন্তু এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন প্রকাশ পায় না। এজন্য টেকসই ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রয়োজন।

   

স্বপ্ন পূরণের সমস্যা

   

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ডেভেলপমেন্ট পরিচালিত এক সমীক্ষার দেখা গিয়েছে টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিগুলোতে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন টিভিইটি ইনস্টিটিউশনগুলোর সার্টিফিকেটকে গুরুত্ব দেয়। নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলো "ওয়াক-ইন-টেস্ট" এবং "দরজা বিজ্ঞাপন" এর মাধ্যমে হয়। 

   

স্বপ্ন পূরণের চ্যালেঞ্জ

   

সমস্যা সমাধানের জন্য যুগোপযোগী ফ্যাক্টরি সম্পর্কিত অকুপেশনে প্রশিক্ষণ প্রদান প্রয়োজন। এজন্য সকলকে গতানুগতিক সার্টিফিকেট নির্ভর পড়াশুনা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এছাড়াও ফ্যাক্টরি ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনগুলোর মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। 

   

যে স্বপ্ন রাতে ঘুমাতে দেয় না......

   

গতানুগতিক ধারার গন্ডী থেকে বেরিয়ে এসে টেক্সটাইল সেক্টর সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে টেক্সটাইল শিক্ষার আমূল পরিবর্তন ঘটানোর। যদি টেক্সটাইল সেক্টরের ফ্লোর লেভেলে দক্ষ ও যোগ্য জনবল সরবরাহ করা সম্ভব হয় তবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ প্রথম অবস্থানে থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশের বিপুল অদক্ষ মানুষ দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে। মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তি মিলবে। আর এর মধ্য দিয়ে  আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ।

   

ভবিষ্যত পরিকল্পনা 

   

একটি স্বপ্ন, স্বপ্ন বাস্তবায়নের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি জায়গায় দৃষ্টি, একটি চিন্তা এবং শুধুমাত্র একটিই ভবিষ্যত পরিকল্পনা আর তা হলো....

   

টেক্সটাইল সেক্টরের ফ্লোর লেভেলে দক্ষ ও যোগ্য জনবল সরবরাহ